বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে খুশির হাওয়া
নিউজ অফবিট ডিজিটাল ডেস্কঃ NAAC অর্থাৎ ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল-এর তরফ থেকে A+ গ্রেডিং-এর তালিকায় এবার জায়গা করে নিল আলীগড়ের মঙ্গলায়তন বিশ্ববিদ্যালয়। এমন খবর প্রকাশ্যে আসার পরে স্বাভাবিক ভাবেই অত্যন্ত খুশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের মূলত ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন আসেন পাঁচ সদস্যের একটি দল। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন। দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন এবং গবেষণার গুণমান মূল্যায়ন যেমন করেছেন, পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ মারফত চুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থার পরামর্শ ইত্যাদি বিষয়ও দেখেছেন। সেই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে সম্প্রতি ফলাফল প্রকাশিত হলে আনন্দে মেতে ওঠেন ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক, প্রাক্তনী থেকে কর্মীবৃন্দ সকলে।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান যে "আমরা অনেক বড় কিছু অর্জনের লক্ষ্যে পা দিয়েছি। এছাড়া তিনি আরও বলেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার ফলেই এই সফলতা এসেছে। এমন জয়ের পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মী সকলকেই আরও উন্নত কিছু সুযোগ-সুবিধা ও সম্পদ দেওয়ার চেষ্টা তিনি করবেন। এখন দায়িত্ব বেড়েছে আর তার সঙ্গে পঠনপাঠন এবং গবেষণার ক্ষেত্রে আরও ভাল কাজ করার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের কাউন্সেলিং দায়িত্ব একান্তই তাঁদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ব্রিগ অমরবীর সিং বলেন যে গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করে কাজ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বটে তবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে কৃতিত্ব পাওয়া গেল। ফলে ভবিষ্যতের আরও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে সকলে সচেষ্ট থাকলে নিশ্চয় এ প্লাস প্লাস গ্রেড পাওয়া সম্ভব হবে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক দীনেশ শর্মা আরও জানান যে মঙ্গলায়তন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। সম্প্রতি হওয়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক পিপে সিং, প্রশাসনিক আধিকারিক গোপাল রাজপুত সহ রাজীব শর্মা, অশোক পুরোহিত,অঙ্কুর ওয়াল, সিদ্ধার্থ জয়নাগাম, ড.নিয়তি শর্মা, ড. সোনি সিং লাভ মিত্তল, তরুণ শর্মা, মায়াঙ্ক সিং প্রমুখ।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মান যাচাইয়ের জন্য এইধরনের মূল্যায়ন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় তরফে আবেদন করলে একটি দল কলেজ পরিদর্শন করেন, একাডেমিক সুবিধা, গবেষণার সরঞ্জাম, ইত্যাদি ব্যবস্থার ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। এর আসল কাজ হল সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান পরীক্ষা করা। তাহলে কলেজ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে শিক্ষার গবেষণা ভিত্তিক কাঠামোর জন্য শিক্ষার্থীদের আরও ভাল বিকল্প পথ তৈরী করে দেওয়া সম্ভব হবে।