তিতাস বিশ্বাস: আজ থেকে টানা ২১ দিন সারাদেশ লকডাউন। গৃহবন্দী আমরা সবাই। নিজের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমাদের ঘরের মধ্যে থাকতেই হবে। এছাড়া আর কোন উপায় নেই। বাড়ি বসে বেশ কিছু সংস্থার বা বিভাগের কর্মীরা কাজ করে চলেছেন। কিন্তু এমন কিছু পেশা আছে যেখানে বাড়ি বসে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই একপ্রকার অখন্ড আলস্য ভরা অবসর। এমন অবসর আমরা সচরাচর পাই না। তাই এই কঠিন সময়টাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য রইলো কিছু টিপস।
১) আমাদের অনেকেরই সৃজনশীল কাজ করতে ভালো লাগে। কিন্তু দৈনন্দিন দৌড়ঝাঁপের জীবনে সৃজনশীলতার চর্চা করা হয় না। তাই এই অবসরে আপনি নিজের সৃজনশীলতা নিয়ে কাজ করতে পারেন। নাচ, গান, আবৃত্তি, আঁকা, লেখা প্রভৃতি সৃজনশীল কাজ হয়ে উঠতে পারে আপনার অবসর যাপনের উপায়।
২) নিজের বাড়িকে সুন্দর করে সাজাতে আমাদের সবারই ভালো লাগে। তাই হ্যান্ডক্রাফটেড জিনিস বা হাতে তৈরি জিনিস দিয়ে নিজের বাড়িকে করে তুলুন আরো সুন্দর ও শালীন। তাতে অবসর যাপন এবং সময়ের সদ্ব্যবহার দুটোই হবে। তবে যদি আপনার কাছে পর্যাপ্ত জিনিস না থাকে তাহলে আপনি শিখতে পারেন অরিগেমি বা কাগজ কাগজ দিয়ে বিভিন্ন রকম জিনিস তৈরি করার কৌশল। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে বিভিন্ন উপায়ে অরিগামি শেখানো হয়।
৩) আপনার যদি গার্ডেনিং বা বাগান করার শখ থাকে তাহলে আপনি বাগানের পরিচর্যা করতে পারেন। দৈনন্দিন জীবনে কাজ কর্মের চাপে যদি বাড়ির বাগান নষ্ট হয়ে যেতে বসে তাহলে এই কিছুদিন এই সেই বাগানকে আরো সুন্দর করে তুলুন।
৪) এই অবসরে বই হয়ে উঠতে পারে আপনার সব থেকে কাছের বন্ধু। তাই আপনার পছন্দের ভালো ভালো বই পড়ুন। টিভিতে বা মোবাইলে ভালো ভালো সিনেমা দেখুন, গান শুনুন।
৫) সারাদিন অফিস আর যাতায়াত করতেই আমাদের বেশিরভাগ সময় কেটে যায়। সেজন্য আমরা নিজেদের পরিবারকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারি না। তাই এই অবসরে সবাই সবার পরিবারকে সময় দিন। যেসব আত্মীয়দের সঙ্গে সময়ের অভাবে যোগাযোগ করে উঠতে পারেন না তাদের ফোন করুন। কথা বলুন। পরিবারের পাশে থাকুন। একান্তে সময় কাটান পরিবারের সাথে। আর মরচে ধরা সম্পর্কে আনুন নতুন ছোঁয়া।
এছাড়াও করোনা বা COVID 19 সংক্রান্ত সরকারের দেওয়া সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলুন। হাত ধোয়ার জন্য সাবান এবং অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। বাড়িতে থাকুন , সেল্ফ আইসোলেশনে থাকুন। হাঁচি বা কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করুন। জ্বর, সর্দি, কাশি হলে অথবা শ্বাসের সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গেই নিকটবর্তী হাসপাতালের যোগাযোগ করুন অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আতঙ্কিত হবেন না, আতঙ্ক ছড়াবেন না। সময়ের সদ্ব্যবহার করুন। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।