নিউজ অফবিট ডিজিটাল ডেস্কঃ শুক্রবার, একুশে ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রি। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় মহা শিবরাত্রি। হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ আরাধ্য দেবতা ‘শিবের মহা রাত্রি’। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে আমরা মহাশিবরাত্রি পালন করি। অগণিত ভক্ত এই দিন শিবলিঙ্গে গঙ্গাজল, দুধ, বেলপাতা, ফুল দিয়ে পুজো করে থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন কোন কোন উপায়ে শিবরাত্রি পালন করলে আপনার আরাধ্য এই দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন। না জানা থাকলে জেনে নিন।
• সারাদিন উপবাস করে থাকতে হবে। উপবাস শেষ হবে পরের দিন সকালে। দুধ, ফল ইত্যাদি খেতে পারেন। তবে সূর্যাস্তের পরে কোনওকিছু খাওয়া চলবে না।
• এদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠুন। তারপর গরম জল আর তিল দিয়ে স্নান করুন। এদিন দিন গঙ্গায় ডুব দিলে সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়।
• পুজো শুরু হবে শিবলিঙ্গ দুধ, জল এবং মধু দিয়ে স্নান করিয়ে। পুজোর জন্য অবশ্যই বেলপাতা, আকন্দ ফুল, কুমকুম এবং চন্দন লাগবে।
• নৈবেদ্য হিসাবে শিবকে দুধ কিংবা ক্ষীরই অর্পণ করা উচিৎ। তবে ভাঙ দিলেও ভগবান শিব খুশি হন।
• দুধ, গোলাপ জল, চন্দন, দই, মধু, ঘি, চিনি, এবং জল দিয়ে শিবের তিলক তৈরি করতে হবে।
• চার প্রহর ধরে শিবের পুজো হয়। চার প্রহরে চার জিনিস দিয়ে শিব লিঙ্গের অভিষেক করতে হবে। প্রথম প্রহরে জল দিয়ে, দ্বিতীয় প্রহরে দই দিয়ে, তৃতীয় প্রহরে ঘি দিয়ে এবং চতুর্থ প্রহরে মধু দিয়ে।
• পুজোর সময় ‘ঔঁ নমঃ শিবায়ঃ’ মন্ত্রটি জপ করতে হবে।
• পুজো শেষের পরে আরতির সময়ে শিবের একশো আটটি নাম জপ করতে হবে।
• যিনি শিবরাত্রি পালন করছেন তাঁকে সারা রাত জেগে থাকতে হবে, এবং ভক্তিগীতি গাইতে হবে। পরের দিন ভোরবেলা উপোস ভাঙতে হবে পুজোর প্রসাদ খেয়ে।
আরও পড়ুনঃ প্রথম শিবরাত্রি কে পালন করেছিল জানেন
আরও পড়ুনঃ প্রথম শিবরাত্রি কে পালন করেছিল জানেন