বিপদ কাঞ্চনজঙ্ঘায়, আটকে দুই বাঙালি অভিযাত্রী

নিউজ অফবিট ডিজিটাল ডেস্কঃ শৃঙ্গ জয়ের খবর মিললেও, স্বস্তি মিলল না। ফেরার পথে গুরুতর অসুস্থ হয়ে আট হাজার মিটার উপরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আটকে পড়লেন দুই বাঙালি অভিযাত্রী। তাঁদের আরও দুই সঙ্গীও বেশ অসুস্থ। তাঁরাও আটকে রয়েছেন শৃঙ্গের দিকে সর্বশেষ ক্যাম্পে।
৪ এপ্রিলে কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে রওনা হন বাংলার পাঁচ অভিযাত্রী –- বিপ্লব বৈদ‍্য, রমেশ রায়, কুন্তল কাঁড়ার, রুদ্রপ্রসাদ হালদার এবং শেখ সাহাবুদ্দিন। সোনারপুর আরোহী ক্লাবের বিপ্লব বৈদ্য, এই ক্লাবেরই রুদ্রপ্রসাদ হালদার, হৃদয়পুরের বাসিন্দা এবং মাউন্টেন কোয়েস্ট ক্লাবের সদস্য রমেশ রায় ইছাপুরের শেখ সাহাবুদ্দিন ও হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের কুন্তল কাঁড়ার। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পুর্বা, মিংমা, দাওয়া তেম্বা, দাওয়া সিরিং এবং দাওয়া নামের পাঁচ জন দক্ষ শেরপা। ১০ মে তাঁরা ক‍্যাম্প-২ তে পৌঁছোন। ঠিক হয় ১১ তারিখ বিশ্রাম নিয়ে ১২ তারিখ রবিবার তাঁরা ক‍্যাম্প-৩ পৌঁছে যাবেন। কিন্তু বাধ সাধে খারাপ আবহাওয়া। তাই যাত্রা শুরু  করেন  ১৩ মে। অনেকটা লম্বা পথ পেরিয়ে তাঁরা ক‍্যাম্প-৩ পৌঁছান।  ১৪ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার ভোরে খবর মেলে, প্রায় সাত হাজার মিটার উচ্চতার ক‍্যাম্প-৩ থেকে সাড়ে সাত হাজার মিটার উচ্চতার ক্যাম্প ফোর তথা সামিট ক‍্যাম্পের পথে রওনা দিয়েছেন পাঁচ অভিযাত্রী। বুধবার সকালে নেপালের পর্বতারোহণ সংস্থা ‘পিক প্রোমোশন’ থেকে কবর মেলে পাঁচ জনের মধ্যে চার বাঙালি অভিযাত্রী বিপ্লব বৈদ‍্য, রমেশ রায়, রুদ্রপ্রসাদ হালদার এবং শেখ সাহাবুদ্দিন বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার (৮,৫৮৬ মিটার) শীর্ষে ভারতের জাতীয় পতাকা ওড়ান। পঞ্চম অভিযাত্রী, হাওড়ার কুন্তল কাঁড়ার অসুস্থ হয়ে পড়ায় সামিট করতে পারেননি। তাঁকে হেলিকপ্টার যোগে কাঠামাণ্ডুতে নামিয়ে আনার প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে শুরু করে দেওয়া হয়েছে।

তারপর ফেরার পালা। ক্যাম্প ৪-এ ফেরার পথেই হাই অল্টিটুড পালমোনারি ইডিমা-তে আক্রান্ত হন কুন্তল এবং বিপ্লব। সহ অভিযাত্রী এবং শেরপারা তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু দু’জনেরই শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়। আট হাজার মিটার উপরেই তাঁদের রেখে আসতে হয়। সূত্রের খবর, দু’জনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিজ্ঞ পর্বতারোহীদের দাবি, ওই জায়গা থেকে গুরুতর অসুস্থ অভিযাত্রীকে নামিয়ে আনা অত্যন্ত কঠিন কাজ। অন্যদিকে বাকি দুই বাঙালি অভিযাত্রী রমেশ ও রুদ্রপ্রসাদকে কোনও মতে ক্যাম্প-৪ পর্যন্ত নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। ফেরার পথে তাঁরাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। রমেশ তুষারক্ষতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের সামিট ক্যাম্পে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করেন ‘প্রজেক্ট পসিবল’ টিম লিডার পর্বতারোহী নির্মল পুরজা এবং তাঁর শেরপা মিংমা ডেভিড এবং জেসমান তামাং।

0/Post a Comment/Comments

নবীনতর পূর্বতন