নিউজ অফবিট
ডিজিটাল ডেস্কঃ ঘূর্নিঝড় ফণী আছড়ে পড়বে আর কিছুক্ষণের
মধ্যেই। তারই প্রভাবে শিয়ালদহ শাখায় একের পর এক লোকাল ট্রেন বাতিল হচ্ছে৷ প্রতিবাদে হচ্ছে রেল অবরোধ৷ যার জেরে বাড়ি ফেরার পথে নাকাল যাত্রীরা৷
সরকার ছুটি ঘোষনা হয়েছিল। কিন্তু বহু বেসরকারী সংস্থা খোলা ছিল। ফলে এদিন শহরমুখী হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ৷ বেশিরভাগ অফিস হাফ
বেলায় ছুটি হয়ে যায়৷ ফেরার সময় তারা রেল স্টেশনে পৌঁছে দুর্ভোগে পরেন৷ শিয়ালদহ,
ক্যানিং, লক্ষ্মীকান্তপুর-সহ বিভিন্ন স্টেশনে গিয়ে সমস্যায় পড়়েন নিত্যযাত্রীরা। আচমকা ট্রেন পরিষেবা বন্ধ
হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তি চরমে।
রেল সূত্রে খবর, দূরপাল্লার বহু ট্রেন আগেই বাতিল করা হয়েছে৷ এবার বাতিল
করা হচ্ছে লোকাল ট্রেন৷বাতিলের তালিকায় রয়েছে— ৮টি শিয়ালদহ-ক্যানিং
লোকাল, ৭টি ক্যানিং-শিয়ালদহ, ৬টি শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার লোকাল, ৪টি ডায়মন্ডহারবার-শিয়লদহ
লোকাল, ৮টি শিয়ালদহ-লক্ষ্মীকান্তপুর, ৬টি লক্ষ্মীকান্তপুর-শিয়ালদহ লোকাল। লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা
শাখায় আপ-ডাউন মিলিয়ে মোট ১৩টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। শিয়ালদহ-বারাসত-হাসনাবাদ শাখায় বাতিল
১০টি লোকাল ট্রেন। এই তালিকাতেই রয়েছে শিয়ালদহ-বারুইপুর-লক্ষ্মীকান্তপুর, বারুইপুর-লক্ষ্মীকান্তপুর
লোকালও। ট্রেন চালুর দাবিতে হাসনাবাদ ও বারুইপুরে রেল অবরোধ
করেন যাত্রীরা৷ অবরোধ হয় বারাসাতেও।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩মে ২২৩টি ট্রেনের সফর বাতিল করা হয়েছে৷ এতে
১৪০টি মেইল/এক্সপ্রেস রয়েছে এবং ৮৩ টি যাত্রীবাহী ট্রেন রয়েছে৷ রেলের মুখপাত্র
জানান, কলকাতা-চেন্নাই রুটের ভদ্রক-ভিজিয়ানাগরম সেকশনের সব ট্রেনগুলিই ৪ মে দুপুর
পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়া, ৯টি ট্রেনের গতিপথ বদলে দেওয়া
হয়েছে৷