নিউজ অফবিট ডিজিটাল ডেস্কঃ কাল ১৮ মে অর্থাৎ শনিবার বুদ্ধ পূর্ণিমা। বৈশাখী পূর্ণিমা এবং বুদ্ধজয়ন্তী একসঙ্গে পালন করাই সনাতন ধর্মের পরম্পরা৷ বৈশাখ মাসের এই পূর্ণিমায় বুদ্ধের জীবনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দে এই দিনে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন। ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই পূর্ণিমায় তিনি সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন। ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই মহালগ্নে তিনি মহানির্বাণ লাভ করেন। তাই এই পূর্ণিমা বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে পরিচিত। অত্যন্ত শুভ এই দিনে কয়েকটি সহজ উপায়ে আপনি সাফল্যকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে পারেন।
জেনে নিন সেই সহজ উপায়গুলি:
- ১। এই দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠুন। স্নান সেরে সূর্য প্রণাম করুন। এরপর একটি পাথরের বা কাঁচের বাটিতে হলুদ, চন্দন ও দুধের মিশ্রণ বানান। সেটি ভগবান বিষ্ণুর সামনে রেখে ১০৮ বার নাম জপ করুন। তারপর ওই মিশ্রণ দিয়ে বাড়ির প্রধান দরজার দু’পাশে স্বস্তিকা চিহ্ন এঁকে দিন। সব অমঙ্গল বাড়ির বাইরে থাকবে।
- ২। এদিন সারাদিন উপবাস করলে ভালো। না করলেও ভুলেও আমিষ খাবার খাবেন না৷ কেননা বুদ্ধ পুশু-পক্ষী নিধনের বিরোধী৷
- ৩। সন্ধ্যায় বাড়ির ঈশান কোণে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বেলে লক্ষ্মীর আরাধনা করুন। দেবীর কৃপায় অভাব থাকবে হবে না।
- ৪। রাতে চন্দ্রদেবের পুজো করুন। পুজো শেষে গরীব ব্রাহ্মণ এবং দুঃস্থদের সাধ্যমতো সাহায্য করুন। সুখ-শান্তিতে বাড়ি ভরে উঠবে।
- ৫। একটি মাটির পাত্রে পরিষ্কার জল ও খাদ্যশস্য বাড়ির ছাদে বা বাইরে গাছের তলায় রেখে দিন। পশুপাখিরা জল ও খাবার খেলে গ্রহদোষ দূর হবে।
- ৬। এদিন ঘরে বুদ্ধমূর্তি বা লাফিং বুদ্ধমূর্তি স্থাপন করুন। সুখ, শান্তি ও বাড়বে।
- ৭। এদিন কেউ কিছু সাহায্য চাইলে তাকে ফেরাবেন না। গুরুজনদের খারাপ কথা বলবেন না।সমস্ত রকম অশান্তি থেকে দূরে থাকুন।
- ৮। এই দিন গঙ্গাস্নান করলে পাপ মুক্তি ঘটে। স্নানের পর পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে জল দান করলে আশীর্বাদ মেলে।
- ৯। এই শুভক্ষণে যমরাজের পুজো করলে অকালমৃত্যুর ভয় দূর হয়।