নিউজ অফবিট ডিজিটাল ডেস্কঃ ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ গড়ার স্বপ্নে বিভোর তিনি। এবার এক ‘ডিজিটাল’ বোমা ফাটালেন। যার জেরে অস্বস্তি চরমে উঠেছে। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতে ইন্টারনেট চালু হওয়ার ৮ বছর আগে তিনি ইমেল ব্যবহার করতেন। আর বাজারে আসার আগেই ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তুলতেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী? মোদীর কাছে জানতে চাওয়া হয় — প্রযুক্তি এবং গ্যাজেটে তিনি কীভাবে এত স্বচ্ছন্দ। এর উত্তর দিতে গিয়েই বিপত্তি বাধান তিনি। মোদী বলেন, ‘‘১৯৮৭-’৮৮ সাল নাগাদ সম্ভবত আমিই দেশে প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করেছিলাম। তখন ই-মেল খুব কম জনের ছিল।' তিনি উদাহরণ দেন, বীরমগামে আডবাণীর সভা ছিল। সেটার ছবি তোলেন ডিজিটাল ক্যামেরায়। তিনি ছবি তুলে দিল্লিতে পাঠিয়ে দেন। পরের দিন রঙিন ফোটো ছাপা দেখে আডবাণীজি আশ্চর্য হয়েছিলেন। বলেছিলেন, এক দিনের মধ্যে দিল্লিতে কী ভাবে রঙিন ছবি ছাপা হল?’’ আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছে নেটিজেনরা।
কারণ ১৯৮৬ সালে জাপানি ক্যামেরা প্রস্তুতকারী সংস্থা নিকন প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রির জন্য ডিজিটাল ক্যামেরা বাজারে আনে। ভারতে তখনো আসেনি। না হয় মেনে নেওয়া গেল মোদী বিদেশ থেকে ক্যামেরা কিনে এনেছিলেন। তাবলে ইমেল? ই-মেল প্রথম চালু হয় ১৯৯৫ সালে। ১৯৮৭ সালে ইন্টারনেটের ধারনাও খুব কম মানুষের ছিল। কারণ ১৯৯৫ সালে বিএসএনএল প্রথম দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু করে। ফলে মোদীর ‘ই-মেল’ সংক্রান্ত দাবি পুরোপুরি অসম্ভব।
স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপের ঝড় বইতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সরব কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরাও। কংগ্রেস নেতা দিব্যা স্পন্দন বলেন, ‘‘যদি ধরেও নেওয়া যায় যে ১৯৮৮ সালে মোদীর ই-মেল ছিল, কিন্তু সেই সময় তো অন্য কারও ই-মেল ছিল না, তাহলে তিনি কাকে ই-মেল পাঠাতেন?’’
Internet in India was made publicly available in 1995 by VSNL but Modi was sending emails in 1987— Gaurav Pandhi गौरव पांधी (@GauravPandhi) May 13, 2019
Oh, and he was sooo poor that he owned a digital camera in 1987; most of the households purchased it 20 yrs later
Modi is the biggest embarrassment for India! pic.twitter.com/gYDuuCVvxJ