ডিজিটাল ক্যামেরা থেকে কোলবালিশ, ভোটের সেরা দশ মিম, দশ বক্তব্য


 নিউজ অফবিট ডিজিটাল ডেস্ক: রাত পেরোলেই লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। কে কটা আসন পাবে তা নিয়ে চলছে তুমুল তর্ক।  আর এক পক্ষ মজেছে রসিকতায়। প্রচার পর্বে নেতানেত্রীর কিছু বক্তব্য ঘিরে। নানা মিম সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে ওয়ালে, হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে। তেমনি কিছু মিম ও তার কারণ তুলে ধরা হল-

১। মিম- ছোটবেলায় শুনতাম ভূতেরা সাদা শাড়ি পরে ঘুরে বেড়ায় আর রাম নামে ভয় পায়, তখন বিশ্বাস করতাম না, এখন করি।
  • (মেদিনীপুরে ভোট প্রচারে গিয়ে রাম নাম শুনে মমতার তেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে)।


২। মিম- বিবাহিত যুবকঃ  (ফোনে) এই তুই আমার বউকে এত ফোন করিস কেন রে?
ফোনের ওপারেঃ দাদা, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এত লিবারাল, আর তুমি এখনো লিবারাল হতে পারলে না।
  • (প্রেমের ব্যাপারে আমি খুব লিবারাল। আমি আমার ভাইয়ের বউকে বলেছিলাম তোর বাইরে কারও সঙ্গে প্রেম করার ইচ্ছে থাকলে করে নিস, আমাদের আপত্তি নেই’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)।


৩। মিম- শিক্ষকঃ রামের মায়ের নাম কী?
ছাত্রে- ভোটের সময় না পরে?
  • (ইলেকশন এলেই রামচন্দ্র সীতামাইয়াকে ডাকে। ডেকে বলে, সীতা মা সীতা মা আমার মনে হচ্ছে ভারতবর্ষে ভোট এসে গেছে। তখন সীতা বলে, কেন ? কেন? তখন রাম বলে, দেখছো না বিজেপি আমার নাম স্মরণ করছে। পাঁচ বছর করে না। ভোট এলেই রামনাম সত্য হ্যায় আর রামনাম জিন্দাবাদ করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)

৪। মিম- ভালো ড্রেস, মেক-আপের দরকার নাই/ রাস্তার চশমা দিয়েও ফেসবুক লাইভ কাঁপানো যায়।
  • (অনেকে ভাবে মদন মিত্রর সানগ্লাস মানেই কার্টিয়ে বা আরমানির হবে। কিন্তু বিশ্বাস করুন এটার দাম মাত্র ২০০-৩০০ টাকা। যেমন রাস্তার কুকুরকে রোডেশিয়ান বলে, এটা ইটালিয়ান স্যালোঁর মতো, ইটালিয়ান চশমা। রাস্তায় রাখা ইটের উপর বিক্রি হয়। নিজের চশমা নিয়ে ফেসবুকে লাইভে মদন মিত্র)

৫। মিম- শিক্ষকঃ কাল ক্লাসে কারা কারা গোলমাল করছিল?  
মনিটর- কাল বেড টি-পেতে দেরি হয়েছে। সকালে উঠেতে দেরি হওয়ায় স্কুলে আসিনি। আমি  কিছু জানি না স্যার
  • (আমার বেড টি-টা আজকে ওরা বড্ড দেরিতে দিয়েছে। তাই আজ আমার উঠতে অনেক দেরি হয়েছে। আমি কী বলব? আমি সত্যিই কিছু জানি না। ভোটের দিন গোলমাল প্রসঙ্গে মুনমুন সেন) 

  ৬। মিম- বল্টুঃ মোদী ঘর ছেড়েছিল কেন রে?
পল্টুঃ আর বলিস না, সে ১৯৮৮ সালের ঘটনা, মোদী একদিন ডিজিটাল ক্যামেরা ছবি তুলে ক্রাশকে ইমেল করেছিল। বউ দেখে ফেলায় কী কেচ্ছা। শেষে রেগে ঘর থেকেই বেরিয়ে যান।
  • (সম্ভবত আমিই দেশে প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করেছিলাম। ১৯৮৭-৮৮ সাল হবে। তখন খুব কম মানুষের ই-মেল ছিল। আমার এখানে বীরমগামে আডবাণীর সভা ছিল। আমি ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তুলি। তখন ডিজিটাল ক্যামেরা অনেক বড় হত। আমার কাছে তখন ছিল। আমি ছবি তুলে দিল্লিতে পাঠিয়ে দিই। পরের দিন রঙিন ফোটো ছাপা হয়। আডবাণীজি আশ্চর্য হয়েছিলেন যে, এক দিনের মধ্যে দিল্লিতে কী ভাবে রঙিন ছবি ছাপা হল? নরেন্দ্র মোদী) (যে সময়ের কথা তিনি বলেছেন তখন ডিজিটাল ক্যামেরা কিংবা ই-মেল কোনওটাই ভারতে ছিল না।)  

৭। মিম- বাবা- কিরে, কদিন ধরে জিমে জাচ্ছিস না?
ছেলে- না বাবা, একটা কোলবালিশ কিনেছি।
  • (আগেকার লোকেরা কোল বালিশ নিয়ে শুতো। কারণ কোলবালিশ ইউজ করলে পেটের বাড়তি চর্বি কমিয়ে দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)

৮। মিম-মা- জঙ্গলে ছবি তুলতে যাচ্ছো যাও, কিন্তু একটা গাইড নিও। না হলে রাস্তা হারিয়ে ফেলবে।
 ছেলে- তার দরকার হবে না মা, পেঁচা আর সাপ তো রয়েছে, ওরাই গাইড করে দেবে
  • (সে দিন জঙ্গলের মধ্যে হঠাৎ দেখি, একটা পেঁচা এসে আমার গাড়িতে বসল। লক্ষ্মী পেঁচা। কিছু ক্ষণ পরে আর একটা পেঁচা এল। মানে আমাকে যেতে দেবে না। ভুল রাস্তায় যাচ্ছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) (পরে রাস্তায় সাপ দেখতে পান বলেও জানান মমতা।)  


৯। মিম- শিক্ষকঃ বিদ্যাসাগরকে দয়ার সাগর বলে কেন?  
ছাত্র- উনি সব কিছুই দান করে দিতেন। এমনকী নিজের লেখা বইটাও অন্যর নামে ছাপাতে দান করে দেন।
  • (যার জন্য বিখ্যাত বিদ্যাসাগর সহজ পাঠ, যা আমরা ছোটবেলায় পড়েছি। সহজ পাঠ কি তৃণমূল সরকার চালু করেছে? যদি টিএমসিপির বিদ্যাসাগরের প্রতি সম্মান থাকত, তাহলে সহজ পাঠ চালু করত। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ।)


১০। মিম- বল্টুঃ তুই যে  কাল্টুদের গাছ থেকে আম পেড়ে আনলি, জানিস ওদের বাগানে সিসিটিভি আছে?
পল্টুঃ চিন্তা করিস না, আকাশে মেঘ ছিল।
  • (এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে যখন পরিকল্পনা চলে, আবহাওয়া তখন খারাপ ছিল। কালো মেঘ আচ্ছান্ন আকাশ। ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। সে সময় অভিযান চালানো সঠিক সিদ্ধান্ত হবে কি না নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। তারিখ পরিবর্তনের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। মনের ভিতর দুটো ভাবনা কাজ করছিল। এক, এটি অত্যন্ত গোপনীয়তার বিষয়। সময় পরিবর্তন করা উচিত হবে না। দ্বিতীয়, যাঁরা বিজ্ঞানটা বোঝেন, তাঁদের মধ্যে আমি পরি না। আমি পরামর্শ দিই, খারাপ আবহাওয়া সুবিধাই করবে। পাকিস্তানের র‍্যাডারে ভারতের যুদ্ধবিমানকে চিহ্নিত করা যাবে না। নরেন্দ্র মোদী)




0/Post a Comment/Comments

নবীনতর পূর্বতন