নিউজ অফবিট ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ ১৫ মার্চ, ওয়ার্ল্ড স্লিপ ডে বা বিশ্ব ঘুম দিবস। মূলত ঘুমের প্রয়োজনীয়তাকে প্রচার করে সমাজ থেকে নানা ধরনের স্লিপ ডিসঅর্ডারকে নির্মূল করাই এই দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু দৈনন্দিন যাপিত জীবনে সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম কতটা জরুরি, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- ঘুম বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা সুনিদ্রার প্রয়োজন। শিশুদের আরও বেশি, ১০-১২ ঘণ্টা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘুম শিশুদের দৈহিক গঠন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রভাবিত করে। প্রযুক্তির কুপ্রভাব এবং সামাজিক মাধ্যমের আকর্ষণে শিশু-যুবক-বৃদ্ধ সবাই কম বেশি আক্রান্ত। আর ঘুম ভালো না হলে অফিসে, স্কুলে মনোযোগ থাকে না। সারাদিন আলসেমি লাগে। দিনে দিনে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।
- চিকিৎসকরা বলেন, ভালো ঘুমের সঙ্গে স্মৃতিশক্তির নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে। সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়, মানসিক দুর্বলতাও তৈরি হয়। তাই শেষ বয়সে অনেকেরই অনিদ্রা সমস্যা দেখা দেয়।
- যদি একজন ব্যক্তির ঘুমের পরিমাণ ও মান সঠিক হয় তবে তাদের বয়োবৃদ্ধিও ধীরে হয়, স্বাস্থ্যসম্মত হয়। বয়োবৃদ্ধির একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন হলো ত্বকে বলিরেখা বা ভাঁজ পড়া। ঘুমের সঙ্গে ত্বকের বলিরেখার সম্পর্ক রয়েছে। সুনিদ্রা বয়োবৃদ্ধির বলিরেখাকে বিলম্বিত করে।
- শুধু চোখের নীচে ডার্ক সার্কেল মুছতে বা মন ভালো রাখতেই যে ঘুমের প্রয়োজন তা নয়। পর্যাপ্ত ঘুম সুস্থ রাখে আপনার হৃত্পিণ্ড, নিয়ন্ত্রণে রাখে ওজন। বেয়লর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানাচ্ছেন, যদি নিয়ম মেনে আরামের ঘুম হয়, তবে তা ভবিষ্যতের স্মৃতিশক্তির প্রসার এবং মানসিক প্রশান্তির জন্য খুব সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
- টেক্সাসের বেয়লর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লিপ নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিশন ল্যাবরেটরির নতুন একটি গবেষণা বলছে, নিয়মিত ভালো ঘুম হলে পরবর্তী জীবনে দারুণ প্রভাব পড়তে পারে। ওই গবেষণায় দেখা যায়, মধ্যবয়সে ভালো ঘুম ভবিষ্যতের মানসিক প্রশান্তির জন্য দারুণ এক পুঁজি হিসেবে কাজ করতে পারে। মধ্যবয়স বলতে ত্রিশোর্ধ্ব সময়কে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ মধ্যবয়সে একজন মানুষ নিয়ম মেনে ঘুমালে তার সুফল বৃদ্ধ বয়সেও পেতে পারেন।
- সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, হঠাৎ নিয়মের বাইরে গিয়ে ঘুমের তারতম্য হলে তা শরীরে অতিরিক্ত মেদ সঞ্চারের পাশাপাশি ডায়াবেটিস-সহ বিভিন্ন রোগের জন্ম দিতে পারে।