জুকেরবার্গ চ্যানকে প্রথম কোথায় দেখেছিলেন জানেন?


জুকেরবার্গের প্রেম কাহিনি: 


ফেসবুক। বহু মানুষের সম্পর্ক গড়ে ওঠার ঠিকানা। সম্পর্ক ভাঙ্গার নজিরও কম নেই।  বিশ্ব মুগ্ধ মার্ক জুকেরবার্গের সৃষ্টিতে। তিনিও  মুগ্ধ হয়েছেন কারও কারও চোখের দিকে তাকিয়ে। তাঁর জীবনে ভালোবাসা এসেছে, ঘর বেঁধেছেন।  ভালবাসার দিনের প্রাক্কলে উঁকি মারা যাক এই টেকগুরুর প্রণয়জীবনে। 

facebook, life, love

ফেসবুকের দৌলতে কত মানুষ যে জীবনসঙ্গী খুঁজে পেয়েছেন, তার হিসেব খোদ মার্ক জুকেরবার্গের কাছেও নেই। কিন্তু এই  জুকেরবার্গ কোথায় তাঁর মনের মানুষের খোঁজ পেয়েছিলেন জানেন? বাথরুমের সামনে। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন।  সালটা ২০০৩।  হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পার্টি চলছিল। পার্টিটা দিয়েছিলেন অবশ্য জুকেরবার্গ ও তাঁর বন্ধুরা। জুকেরবার্গের নজর যায় বাথরুমের সামনে অপেক্ষমানদের সারিতে বিয়ারের গ্লাস হাতে দাঁড়িয়ে এক সুন্দরি। নাম প্রিসিলা চ্যান।  বায়োলজির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
২০০৪ সাল। ফেসবুক কর্মী হিসেবে যোগ দেন চ্যান। ২০০৬ সালে জুকেরবার্গের এক ফেসবুক পোস্টেই জানা যায় প্রেমে পড়েছেন তিনি।  ২০০৭-এ স্নাতক হন চ্যান। থাকতে শুরু করেন গোল্ডেন গেট পার্কে। ফেসবুক নিয়ে তখন তুমুল ব্যস্ত মার্ক। আর চ্যানও চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোনিয়া থেকে। তাই প্রেমে কিছু শর্ত ছিল। ফেসবুক অফিসে দেখা করা যাবে না।  তবে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১০০ মিনিট সময় দিতে হবে। এরপর বাকিটা সবারই জানা।
একসঙ্গে দুজনে পুরো বিশ্ব ঘুরে বেড়িয়েছেন। চীনে হবু শ্বশুরবাড়ি থেকেও ঘুরে আসেন এক ফাঁকে। শিখতে শুরু করেন মান্দারিন ভাষাও।  ২০১০ সালে সেপ্টেম্বরে একসঙ্গে ঘর বাঁধা।  ফেসবুকে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস—ইন আ রিলেশনশিপ! আর ২০১২ সালে ‘ম্যারেড’! এখন এক কন্যাকে নিয়ে তাঁদের সুখের সংসার। 

0/Post a Comment/Comments

নবীনতর পূর্বতন