খারাপ সময় সবার জীবনেই আসে। এই সময় জীবনে ভালো কিছু পাওয়ার জন্য দরকার কাজের প্রতি নিষ্ঠা, ব্যক্তিগত জীবন সৎ থাকা ও ভাগ্যের উপর ভরসা রাখা। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় সৎ চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও নানান কারণে বাড়িতে ও ব্যক্তিগত জীবনে অশান্তি ভোগ করতে হয়। আসলে সংসারে শান্তি তথা সমৃদ্ধি আনার জন্য আমাদের বাস্তু অনেকাংশে দায়ী। তাই আমাদের বাস্তু শাস্ত্রের কিছু পরামর্শ মেনে চলা দরকার।
গাছ এমনিতে পজিটিভ শক্তির প্রতীক। বাস্তুশাস্ত্র বলছে, বাড়ির উত্তর, উত্তর-পূর্ব বা পূর্ব দিকে তুলসী গাছ থাকলে তা সমৃদ্ধি, সৌভাগ্যকে বাড়িয়ে তোলে। শাস্ত্র মতে, বাড়িতে তুলসী গাছ থাকলে মৃত্যুর দেবতা যমরাজও ঘরে ঢুকতে পারেন না। আর আপনি যদি বাস্তুশাস্ত্র না মানেন তাহলেও বলব, এর ভেষজ গুণ কিন্তু কম নয়। প্রাচীন আয়ুর্বেদ থেকে আধুনিক চিকিৎসায় তুলসী অত্যন্ত কার্যকরী। সর্দিকাশিতে অব্যর্থ ওষুধ হিসাবে কাজ করে। তুলসীর গন্ধবাহী বাতাস চারদিকের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃ বাড়িতে রাখুন এই নয় গাছ, সৌভাগ্য ফিরবেই
বাস্তুশাস্ত্র মতে, আপনার বাড়ির তুলসী গাছের নীচে একটি শালগ্রাম শিলা রাখুন। এতে গৃহের সদস্যদের সৌভাগ্য ও স্বাচ্ছ্ন্দ্য আরও বেড়ে ওঠে। এমনিতেই শালগ্রাম শিলাকে ভগবান বিষ্ণুর স্বরূপ বলে মনে করা হয়। তাই যে বাড়িতে তুলসীর সঙ্গে শালগ্রাম শিলা থাকে সেখানে সুখ-শান্তি চির বিরাজমান। বাড়ির সব সদস্যের জীবন থেকে অন্ধকার নাশ হয়। আসে সুনাম, পতিপত্তি। তাই দরিদ্রতা থেকে মুক্তি পেতে, ঘরে সুনাম বৃদ্ধি ও পুণ্য লাভের জন্য আপনার বাড়িতে তুলসী গাছের নীচে একটি শালগ্রাম শিলা পুঁতে দিন।
তবে কিছু নিয়মকানুন আছে। প্রতিদিন স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্রে দুপুর ১২টার আগে তুলসী গাছের গোড়ার ফুল ও জল দিতে হবে। প্রতি সন্ধ্যায় এই তুলসী গাছের কাছে ধুপ ও প্রদীপ জ্বালাতে হবে। সন্ধ্যায় পর কখনই এই গাছ স্পর্শ করা যাবে না। এর এটুকু করলেই আপনার জীবন আলোকিত হয়ে উঠবে।