গাছ লাগানো বা গাছ দিয়ে ঘর সাজানো হয়তো আপনার প্যাশন। আপনার বাগানে, বারান্দা বা করিডোরে, অনেক সুন্দর গাছ রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি বাড়িতে এই নয়টি গাছ রাখেন তাহলে ফিরে আসবে আপনার সৌভাগ্য। বাস্তুশাস্ত্র বলছে , এই কয়েকটি গাছ গৃহশান্তি, সুখ সমৃদ্ধি তথা ধনসম্পত্তি বাড়াতে সাহায্য করে। অনেকেই বলেন, এসব গাছ থাকলে দীর্ঘায়ু লাভ করা যায়।
আর আপনি যদি বাস্তুশাস্ত্র না মানেন তাহলেও বলব, এই গাছগুলো শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায় না, রাতে অক্সিজেন ছাড়ে। কাজেই বাড়ির পরিবেশ অনাবিল শান্তিময় হয়ে ওঠে। এছাড়াও গাছগুলি ঘরের বাতাস থেকে দূষিত পদার্থ শুষে নিয়ে স্বাস্থ্যকর আবহাওয়া তৈরি করে। ফলে মস্তিষ্ক ও মন প্রফুল্ল থাকে। তবে চলুন দেখে নেওয়া যাক গাছের তালিকা।
১। মানি প্ল্যান্টঃ
মানি প্লান্ট বা টাকার গাছ। না, এই গাছে টাকা ধরে না ঠিকই, তবে বাস্তুমতে এই গাছ ঘরে থাকলে অর্থনৈতিক ভাগ্য ফিরবে। জ্যোতিষ শাস্ত্র বলছে, ‘মানি প্ল্যান্ট’ নাকি খুবই সৌভাগ্যদায়ী৷ বাড়ির উত্তর ও পূর্ব দিকে মানিপ্ল্যান্ট বসানো থাকলে সব নেগেটিভ এনার্জি দূর করে, সৌভাগ্যকে দীর্ঘস্থায়ী করে৷ ফেং শুই-তেও প্রায়ই এই গাছের কথা বলা হয়। আর বিজ্ঞান বলছে, ঘরের ফ্রিজ, এসি কিংবা অন্যান্য যন্ত্র থেকে সিএফসি গ্যাস এবং অফিসের ফটোকপি ও প্রিন্টার হতে ওজোন গ্যাস নির্গত হয়। এই গ্যাস আমাদের বুকে ব্যথা এবং গলার খুসখুসে কাশির জন্য দায়ী। প্যান স্ট্রেটের গবেষকদের মতে, বাড়ি এবং অফিস রুমে মানি প্ল্যান্ট রাখলে এটি ক্ষতিকারক সিএফসি এবং ওজোন গ্যাস শুষে নিয়ে আমাদের রক্ষা করে।
২। বেসিল বা তুলসী:
তুলসীর গুণের কথা সকলেরই জানা। প্রাচীন আয়ুর্বেদ থেকে আধুনিক চিকিৎসায় তুলসী অত্যন্ত কার্যকরী। সর্দিকাশিতে অব্যর্থ ওষুধ হিসাবে কাজ করে। এখনও ইতালির কয়েকটি দ্বীপে রান্নায় জীবাণুনাশক হিসেবে তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র মতে বাড়িতে তুলসী গাছ থাকা অত্যন্ত উপকারী। তুলসীর গন্ধবাহী বাতাস চারদিকের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
৩। লাকি বাম্বুঃ
তবে এই গাছ সাজানোর একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। এই গাছ একটি কাঁচের পাত্রে রেখে ঠিক ৩ ইঞ্চি জল নিয়ে, তাতে রঙবেরঙের পাথর সাজিয়ে রাখতে হবে। ব্যাম্বু কিনে এনে কাঁচ বা সেরামিকের পাত্রে কিছুটা জল ও কয়েকটা পাথর রেখে, তার ওপর গাছটা বসিয়ে দিন। খেয়াল রাখুন এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে সরাসরি রোদ এসে না পড়লেও যথেষ্ট আলো-বাতাস থাকে। সপ্তাহে একবার করে জল বদলালেই চলবে। ক্লোরিন যুক্ত জলে লাকি ব্যাম্বু বাঁচে না। তাই পরিষ্কার জল দেবেন। লাকি ব্যাম্বুর গাছে তরল সার ব্যবহার করলে তা আরও ভালো ভাবে বাড়বে। মানা হয়, একটি গোছায় দুটি থাকের গাছ থাকলে তা দাম্পত্য প্রেম বাড়িয়ে তোলে। তিনটি থাকলে স্বাস্থ্য, সম্পত্তি বাড়িয়ে তোলে। চারটিতে বাড়ির কোনও সদস্যের কেরিয়ার ও পড়াশুনোর ভাগ্যে উন্নতি আসে। ফলে আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী বেছে নিতে হবে। তবে প্রতিটিতেই লালা রিবন বাঁধা থাকতে হবে।
এই ফুলের গন্ধ যেমন মিষ্টি, তেমনি এই গাছ উপকারী। বলা হয় জেসমিন রোমান্সকে জিইয়ে রাখে। মনকে প্রফুল্ল করে রাখে। এই গাছ নাকি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক এবং মানসিক সম্পর্ককে আরো গভীর করে। বাস্তুশাস্ত্রবিদের মতে, জুঁই ঘরে পজিটিভ এনার্জি আনে। বয়ে আনে ভাগ্যের সুবাতাস। মানা হয় জুঁই ঘরে থাকলে ভালোবাসা এবং অর্থ কে আকর্ষণ করে। এই ফুল ভগবান বিষ্ণুর প্রিয়, আবার শিবেরও পছন্দের। তাই বাড়িতে এই গাছ রাখলে, তা ইতিবাচক ভাবনা জাগ্রত করে সদস্যদের মধ্যে। বাড়ি সাজানোর পক্ষেও এই ফুল শুভফলদায়ক
৫। অর্কিডঃ
অসম্ভব সুন্দর একটা ফুল। এর গাছও খুবই উপকারী। খুব সহজে বিছানার পাশে রেখে দেওয়া যায়। ঘরটাকে রঙিন করে তোলে। অক্সিজেন দিয়ে ঘরকে সতেজ করে তোলে। পাশাপাশি এই গাছ জাইলিন শুষে নেয়। যার ফলে শ্বাস নিতে অনেক শান্তি মেলে। ভাগ্যের উর্বরতা বাড়াতেও নাকি এই গাছের কদর রয়েছে। সমগ্র বিশ্ব মনে করে এই ফুল ভালোবাসা ও সৌন্দর্যের প্রতীক। ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব বয়ে আনে এই গাছ। গ্রিক সংস্কৃতিতে এই ফুলকে প্রজনন এর প্রতীক বলেও মনে করা হয়।
অসম্ভব সুন্দর একটা ফুল। এর গাছও খুবই উপকারী। খুব সহজে বিছানার পাশে রেখে দেওয়া যায়। ঘরটাকে রঙিন করে তোলে। অক্সিজেন দিয়ে ঘরকে সতেজ করে তোলে। পাশাপাশি এই গাছ জাইলিন শুষে নেয়। যার ফলে শ্বাস নিতে অনেক শান্তি মেলে। ভাগ্যের উর্বরতা বাড়াতেও নাকি এই গাছের কদর রয়েছে। সমগ্র বিশ্ব মনে করে এই ফুল ভালোবাসা ও সৌন্দর্যের প্রতীক। ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব বয়ে আনে এই গাছ। গ্রিক সংস্কৃতিতে এই ফুলকে প্রজনন এর প্রতীক বলেও মনে করা হয়।
৬। পিস লিলিঃ
গাঢ় সুবজ এই গাছে ফোটে বিস্ময়কর উজ্জ্বল সাদা ফুল। এর সুগন্ধ ঘরের পরিবেশকেই বদলে দেয়। করে বিশুদ্ধ। ভাগ্যও বয়ে আনে। সারা পৃথিবী জুড়েই এই গাছকে মানা হয় সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে। বাস্তুকারদের মতে, বাড়িতে অজাচিতভাবে নানা সমস্যা এসে পড়লে লিলি ফুল থাকা ভালো। এতে দাম্পত্য কলহ কমে। এছাড়াও এই গাছ ঘরের ভেতর উপস্থিত ক্ষতিকারক টক্সিক গ্যাস নির্মূল করতেও সাহায্য করে। এই গাছ বাতাসের ফরমালডিহাইড, বেনজিন এবং কার্বন মনোক্সাইড শুষে নেয়। পিস লিলি গাছ বাড়ির মধ্যে কিংবা বাগানেও লাগানো যায়। বিশেষ যত্নেরও প্রযোজন হয় না।
গাঢ় সুবজ এই গাছে ফোটে বিস্ময়কর উজ্জ্বল সাদা ফুল। এর সুগন্ধ ঘরের পরিবেশকেই বদলে দেয়। করে বিশুদ্ধ। ভাগ্যও বয়ে আনে। সারা পৃথিবী জুড়েই এই গাছকে মানা হয় সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে। বাস্তুকারদের মতে, বাড়িতে অজাচিতভাবে নানা সমস্যা এসে পড়লে লিলি ফুল থাকা ভালো। এতে দাম্পত্য কলহ কমে। এছাড়াও এই গাছ ঘরের ভেতর উপস্থিত ক্ষতিকারক টক্সিক গ্যাস নির্মূল করতেও সাহায্য করে। এই গাছ বাতাসের ফরমালডিহাইড, বেনজিন এবং কার্বন মনোক্সাইড শুষে নেয়। পিস লিলি গাছ বাড়ির মধ্যে কিংবা বাগানেও লাগানো যায়। বিশেষ যত্নেরও প্রযোজন হয় না।
এই গাছের উপকারিতার কথা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ভেষজ গুন সম্পন্ন এই গাছ রাতে অক্সিজেন নির্গত করে। যা উৎকণ্ঠা, আবসাদ কমিয়ে ভাল ঘুমোতে সাহায্য করে। নাসার গবেষণায় বলা হয়, যে গাছগুলো বায়ুর গুণগত মান বৃদ্ধি করে তার মধ্যে এটি সেরা। এই গাছ বাঁচিয়ে রাখতে তেমন কোনো পরিশ্রম করতে হয় না। এর পাতার ভেতরের কোমল অংশ রূপচর্চাতেও অনন্য। এর অনেক ভেষজ গুণের একটি হলো পুরে যাওয়া স্থানে কাচা পাতার আঠালো রস লাগালে খুব দ্রুত পোড়ার যন্ত্রণা কমে আসে।
৮। স্নেক প্ল্যান্ট:
ফলার মত লম্বা পাতাযুক্ত স্নেক প্লান্ট দেখতে অনেকটা অন্যান্য পাতাবাহার গাছের মতই। গাছের পাতার আকৃতি অনেকটা সাপের মত প্যাঁচানো বলেই হয়ত লোকে একে স্নেক প্লান্ট বলে। তবে ভয়ের কিছু নেই। এই গাছ বিষাক্ত নয়। বরং এই গাছ সৌভাগ্যের প্রতীক। আর সৌভাগ্য বাদ দিলেও এই গাছ অনেক উপকারে আসে। কার্বন মনোক্সাইড, বেনজিন, ফর্মালডিহাইড ছাড়াও বেশ কিছু ক্ষতিকর গ্যাস শোষণ করে বায়ু পরিশোধন করে। শোওয়ার ঘরে রাখলে মাথা ধরা থেকে স্বস্তি মেলে। চোখের সমস্যা কমে। নিশ্বাসের সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়। এ গাছের বৈশিষ্ট্য হলো এটি অল্প আলোতেই বড় হতে পারে। আর বাড়ির ভেতরে বড় হতে কোনো অসুবিধা হয় না। খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। গোড়ার মাটি শুকিয়ে গেলে তারপরই জল দিতে হয়।
৯। রোজমেরী:
মন তাজা করে একই সঙ্গে মুড রোমান্টিক করে দেওয়ারও ক্ষমতা রাখে এই গাছ। ঘরের পরিবেশকে চিরতরুণ করে রাখে। ভেতরের জ্বরাকে সারিয়ে তোলে। পরিশুদ্ধতা আনে। ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়ও প্রেম এবং কাম কে আকর্ষণ করে। এমনকী ঘরের ক্ষতিকারক টক্সিক গ্যাসও নির্মূল করতে সাহায্য করে।