নিউজ অফবিট ডিজিটাল ডেস্কঃ জোড়াল প্রত্যাঘাত৷ পুলওয়ামা কাণ্ডের ১২ দিন পরে জবাব দিল ভারত। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারতের বায়ুসেনাবাহিনী৷ সোমবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রায় ৮০ কিলোমিটার ভিতরে ঢোকে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। এরপর বালাকোট, চাকোটি এবং মুজফ্রাবাদে জইশ-ই-মহম্মদের তিনটি লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জইশের কন্ট্রোল রুম আলফা-৩। ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমানের সাহায্যে হামলা চালানো হয়। কেমন ক্ষমতা এই ফাইটার জেটের? চিনে নিন বদলার নায়ককে।
- দাসোল্ট মিরাজ ২০০০ চতুর্থ প্রজন্মের ফ্রেঞ্চ মাল্টিরোল সিঙ্গল ইঞ্জিন ফাইটার জেট।
- ১৯৮২ সালে প্রথম ফ্রান্সের দাসোল্ট সংস্থাকে ৩৬টি সিঙ্গল সিটার এবং ৪টি টুইন সিটার মিরাজ বিমানের বরাত দেয় ভারত। ১৯৮৫ সালে প্রথম এই জেট ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসে।
- ২০০৭ সালে আরও ৫০টি উন্নতমানের মিরাজ ভারতের হাতে আসে।
- এই জেট পাকিস্তানের বায়ুসেনা বাহিনীর এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে পাল্লা দিতে পারে। নিজের সুরক্ষাও করতে পারে, আবার আঘাতও হানতে পারে।
- ১৯৯৯-এ কার্গিল যুদ্ধের সময়েও মিরাজ যুদ্ধবিমান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
- এই ফাইটার জেটের অন্যতম বৈশিষ্ট্য, এগুলি অত্যন্ত কম উচ্চতায় উড়তে সক্ষম। ফলে শত্রু পক্ষের র্যাডের তা ধরা পড়ে না।
- এই যুদ্ধবিমানে মারাত্মক শক্তিশালী রাডার রয়েছে। যার সাহায্যে সহজেই বায়ু থেকে মাটিতে লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে মিসাইল এবং লেজার গাইডেড বোম নিয়ে আঘাত হানা যায়। ডপলার বিমিং প্রযুক্তির মাধ্যমে ভূমিতে থাকা যে কোনও বস্তুর নিখুঁত মানচিত্র এঁকে ফেলতে সক্ষম।
- মাটিতে থাকা যে কোনও চলন্ত বস্তুকেও নিশানা করতে সক্ষম এই যুদ্ধবিমান। অত্যন্ত শক্তিশালী এই যুদ্ধবিমানের অতি সম্প্রতি আধুনিকীকরণ হয়েছে।
- এই ফাইটার জেটের চালকের হেলমেটের মধ্যেই থাকে ডিসপ্লে। এর ফলে সুপারইমপোজড রাডার ডেটা দেখতে পারেন তিনি। যেদিকে প্রত্যাঘাত করতে চাওয়া হয় সেদিকে মাথাটা ঘোরালেই হবে বোমা নিক্ষেপ করা যায়।